শনিবার মধ্য রাতে চীনের একটি লং মার্চ ৫ বি রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়েছে। চীনের মহাকাশ সংস্থা বলেছে, লংমার্চ ৫বি রকেটের বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষ বায়ুমণ্ডলেই পুড়ে মিশে গেছে। রকেটটির কিছু অংশ প্রশান্ত মহাসাগরের সুলু সাগরে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে ।মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন, রকেটটির ধ্বংসাবশেষ জনবহুল এলাকায় পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। রকেটের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
চীনের মহাকাশ
সংস্থা রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পরার স্থান নির্দিষ্টভাবে জানিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য
অনুসারে, এসব ধ্বংসাবশেষ
পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরে ফিলিপাইনে পালাওয়ান দ্বীপের পূর্বদিকে সুলু
সাগরে। এই সময় রাতের আকাশে
আতশবাজির মতো আলোর ফুলকি দেখা গেছে। সেটি যত ভূখণ্ডের কাছে আসতে থাকে, ততই এটিকে উল্কাপাত বলে মনে হয়। রাতেই এশিয়ার
বেশ কিছু দেশের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাল, নীল, হলুদ, কমলা রঙের আলোর
ছবি প্রকাশ করে উল্কাপাতের কথা জানায়। আসলে সেটি ছিল বিশাল মাপের চীনা লংমার্চ ৫বি
রকেটর ধ্বংসাবশেষ।
২৪ জুলাই চীনের লংমার্চ ৫বি রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। রকেটটির কাজ ছিল মহাকাশে তাদের গবেষণা সংস্থায় নতুন একটি যন্ত্র স্থাপন করে ফিরে আসা। রকেটটি সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজ করে পৃথিবীর বুকে ফির আসছিল। ঠিক সেই সময়ই এই বিপত্তি ঘটে। পৃথিবীর কক্ষপথে রকেটটির তৃতীয় যাত্রা। ২০২০ সালে চীনা লংমার্চ ৫বি প্রথম একবার উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন এই রকেটটির একাংশ আইভরি কোস্টে আছড়ে পড়েছিল। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নাসা সমালোচনা করে বলেছে, মহাকাশে যারাই রকেট পাঠাক তাদের পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার যাবতীয় তথ্য সকলকে জানানো উচিত। রকেটটি কোথায় এসে কিভাবে নামবে, তার ওজন কত, পরিবেশের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে সেসব তথ্য কিছুই জানানো হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ
Do not share any Link