Header Ads

বাবা সাহেব ডঃ ভীম রাও আম্বেদকর


 বাবা সাহেব ডঃ ভীম রাও আম্বেদকর ঃ

ভারতরত্ন ডঃ বি আর আম্বেদকর হিন্দু সমাজের অস্পৃশ্য "মাহার" সম্প্রদায়ে ১৮৯১ সালের ১৪ ই এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের মিলিটারি হেড কোয়াটার মউ নামক স্থানে  জন্ম গ্রহন করে ছিলেন

পিতা সুবেদার রামজি শকপাল , মাতা ভীমা বাই । ভীম রাও আম্বেদকর মাত্র ৬ বছর বয়সে তার মাকে হারান । প্রথমে পিসি রমাবাই এর কাছে বড় হন । পরে পিতা বিয়ে করেন । তার পড়াশুনা শুরু মধ্যপ্রদেশের সাঁতরায় । এখান থেকেই আম্বেদকর বুঝতে পারেন হিন্দু সমাজের নিষ্টুর ও নির্মম বিধান গুলি । অস্পৃশ্য মাহারদের সন্তান বলে তাকে স্কুলে একই বেঞ্চে বসতে দেওয়া হত না। জল খেতে দেওয়া হত না । দূর থেকে উচু করে কেউ জল দিলে তবেই জল খেতে পারত । মাটিতে বসতে দিত ।

এক দিন দুই ভাই পিতার কর্মস্থানে গোরে গাঁও যাবার সময় গরুর গারির গাড়োয়ান যখন জানতে পারল যে তারা অস্পৃশ্য সমাজের তখন তাদের মালপত্র গাড়ী থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে তাদের অজানা পথে নির্দয়ভাবে নামিয়ে দেওয়া হয় । কোন অপরাধ নয় কেবল মিথ্যা এক কুসংস্কারের বলি হন তারা । এই অমানুষিক অন্যায় নির্যাতন তাকে সারা জীবন সহ্য করতে হয়েছে ।

উচ্চ শ্রেনিতে পড়ার সময় তাকে লাইব্রেরিতে ঢুকতে দেওয়া হতো না বরোদা রাজার ডিফেন্স সেক্রেটারির চাকরির সময় উচ্চবর্নের ব্রাহ্মন পিয়ন তার টেবিলে ফাইল ছুড়ে দিত সেই অফিসে একই পাত্রে জল পানের সুযোগ ছিল না এমন কি শহরে কোন হোটেলে থাকার সুযোগ না পেয়ে চাকরি ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন এমন কি তাকে কলেজের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষের চাকরিতে ও নানা ভাবে লাঞ্চিত হতে হতো আইনজীবির ভূমিকায় শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দেওয়া স্বত্বেও তার বিরুদ্ধে প্রচার করে দেওয়া হয় যে আম্বেদকর  অস্পৃশ্য সমাজের লোক বলে , যাতে তার কাছে কেউ না যায় এই সব যখন হচ্ছে তখন তিনি এম এ , এম এ সি , পি এইচ ডি , ডি এস সি , পাশ করে ফেলেছেন



আন্তর্জাতিক ভাবে বিশ্বের জন জ্ঞানী শ্রেষ্ট মানুষের অন্যতম ভারতের সর্ব কালের সর্বশেষ্ট পণ্ডিত হলেন ডঃ বি আর আম্বেদকর তার অপরাধ যে তার জন্ম মাহার নামক অস্পৃশ্য সম্প্রদায়ে হয়ে ছিল এই নির্যাতিত মানুষটিকে নেহেরু বলে ছিলেনভারতমাতার বিদ্রোহী সন্তানবাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকর কোন তাত্ত্বিক পণ্ডিত মাত্র নন , তিনি নির্যাতিত পঙ্ক থেকে উঠে আসা এক পঙ্কজ যার অসাধারন মেধা , ব্যক্তিত্ব , দূরদৃষ্টিতা ভারতে ছিল বিরল আর বিশ্বে ছিল অনন্য ডঃ বি আর আম্বেদকর তাই আজকের নতুন প্রজন্মের কাছে  সামাজিক ন্যায়ের প্রতীক ব্রাহ্মন্যবাদী সমাজ ব্যবস্তা ফিরিয়ে আনার জন্য এক শ্রেনির রাজনৈতিক লোকেরা উগ্র অন্ধতার দিকে এগিয়ে চলেছে যার সাম্প্রতিক অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়

 


                                                                       ক্রমশ



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ