Header Ads

জাপান জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে জনসংখ্যা বাড়াতে


 জাপান জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে জনসংখ্যা বাড়াতে

জাপানে জন্মহার খুবই কমছে। বিষয়টি খুবই চিন্তাজনক । জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দেশটির ক্রম হ্রাসমান জন্মহার মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, জাপানে জন্মহার বৃদ্ধির জন্য এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত সময়। এখন ব্যবস্থা না নিলে দেরি হয়ে যাবে। তাই অপেক্ষা করার সময় নেই। ইতিমধ্যে জাপান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী জনসংখ্যার দেশ হয়ে গেছে। কয়েক বছর ধরেই জাপানে জন্মহার বাড়াতে জনগণকে নানা উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার। বেশি সন্তান নিয়ে নগদ অর্থসহ নানা সুবিধার ঘোষণা ও করা হয়েছেতবে একটি সমীক্ষাদেখাযায় শিশুর লালনপালনের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশগুলোর মধ্যে একটি হল জাপান। এই কারণে অনেকেই সন্তান নিতে চাইছে না।



জাপানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে জন্মহার কমে যাওয়ার নতুন রেকর্ড গড়ে । গত বছর সরকারের প্রত্যাশার চেয়েও আট লাখ কম শিশুর জন্ম হয়েছে । এর আগে ২০১৫ সালে দেশটিতে জন্মহার কমে যাওয়ার রেকর্ড হয়েছিল। দেশটিতে ভবিষ্যতে আরও জন্মহার কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষের বাস মোনাকোতে। এরপরই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের বাস জাপানে।

ফুমিও কিশিদা জাপানের নতুন বছরে পার্লামেন্ট অধিবেশনের শুরুতে তাঁর সরকারের নীতি ঘোষণা করেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতি সামাজিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুর জন্ম এবং প্রতিপালন নীতি এখনই নিতে হবে। এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়, যার জন্য আর অপেক্ষা করা যায় না।




ফুমিও কিশিদা আগামী জুনের মধ্যে শিশু প্রতিপালন বাজেট দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা জমা দেবেন। এপ্রিলে সমস্যাটির তদারক করার জন্য একটি নতুন শিশু ও পরিবার কল্যাণ  সরকারি সংস্থা স্থাপন করা হবে। জাপানের ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চ অনুসারে, শিশু লালনপালনের ক্ষেত্রে জাপান বিশ্বের তৃতীয় ব্যয়বহুল দেশ। এর শীর্ষে আছে চীন। এরপর দক্ষিণ কোরিয়া এই দুটি দেশেও জনসংখ্যা কমছে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমে যাওয়ার ও বয়স্ক লোকজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ