Header Ads

হুল দিবস


 

বীর শহীদ সিধু মুর্মু কানু মুর্মুর স্বরনে ৩০ শে জুন ১৬৭ তম হুল দিবস উদযাপন করা হছে কালিপদ সোরেনের উদ্দোগে দক্ষিন সিমলা , চুঁচুড়া , হুগলী

সাঁওতালরা হল কঠোর পরিশ্রমী , শান্তিপ্রিয়  এক কৃষিজীবী  আদিবাসী সম্প্রদায় তারা অরন্যের উপর নির্ভরশীল অরন্যের কাঠ সংগ্রহ , ফলমূল সংগ্রহ পশু শিকার করে জীবন ধারন করত ১৮৫৩ সালে ভারতে রেল পথ নির্মান শুরু হয় তখন লোহার তৈরি রেল লাইন পাতার সময়  , লাইনের নিচে কাঠের স্লিপার পাতা হত তাই রেল লাইন নির্মানে প্রচুর কাঠের প্রয়োজন হয় ইংরেজরা সেই সময় থেকে একের পর এক অরন্য ধংস করে তাদের উচ্ছেদ করতে থাকে সেই অরন্যের অধিকার থেকে ব্রিটিশ সরকার তাদের বঞ্চিত করে তখন থেকে জমিদার , ইজারাদার,মহাজনরা ব্রাক্ষন্যবাদীরা নানা কৌশলে নানা  অজুহাতে আদিবাসীদের জমি জোড় করে দখল করতে থাকে সেই সময় মহাজনরা নানা কৌশলে শোষন করে এবং নামমাত্র মজুরিতে কাজ করানো , হাঁস ,  মুরগি  ছাগল কেড়ে নেওয়া , এমন কি নারীদের সম্মান হানিতে তারা পিছপা হত না  



তাই ( জো জমিন সরকারি হ্যাঁয় জমিন হামারি হ্যাঁয় ) অর্থাৎ যে জমি সরকারি ছিল , সেই জমি আমাদের ছিল ইংরেজদের এই শাসন শোষন অত্যাচারের বিরুদ্ধে ১৮৫৫ সালে ৩০ শে জুন সিধু মুর্মু কানু মুর্মুর নেতৃতে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এই বিদ্রোহের পরে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি ১৮৫৫ সালে অরন্য সংরক্ষণের কথা বলেন অমর শহীদ বীর সিধু মুর্মু কানু মুর্মু কে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই এই দিনটি ইতিহাসে হুল দিবস হিসাবে পালিত হয়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ