যুগ যুগ ধরে চলে আসা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামো অক্ষুন্ন রেখে দেশের শাসন যন্ত্রের হাত বদল হয়েছে শুধু মাত্র 15
ভাগ ব্রাহ্মন্যবাদী মানুষের মধ্যেই ,আর ৮৫ ভাগ দলিত তপশিলীজাতি , আদিবাসী ও মুসলিম সমাজের মানুষের অজ্ঞানতার কারনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়ে তাদের মূ্ল্যবান ভোট দিয়েও প্রতিদানে আজও কিছুই পায় নি। এ যেন একই মদ শুধু লেবেল আলাদা , তাই স্বাধীনতার 76 বছর পরেও আজও এরা সামাজিক ভাবে উৎপীড়িত,ঘৃনিত ও হতদরিদ্র। মানুষের মত বেঁচে থাকার সমস্ত প্রকার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। সমস্ত ব্রাহ্মন্যবাদী রাজনৈতিক দলগুলি কংগ্রেস,বিজেপি,বামফ্রন্ট,তৃনমূল কংগ্রেস তাদের শাসন ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মনভোলানো স্লোগান, সমস্যা তুলে 85 ভাগ মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। বিজেপি হিন্দুত্বের ও জাতীয়তাবাদের নামে , কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার নামে , সিপিএম শ্রেনী সংগ্রামের নামে । এই সমস্ত বাহ্মন্যবাদী দলগুলি তাদের পরিচালন কমিটিতে ও নীতিনির্ধারন কমিটিতে দলিত,আদিবাসী ও মুসলিম সমাজের কেউকেই নেয় না। নিলেও তাদের পুতুল করে রেখে দেয়। 15
ভাগ ব্রাহ্মন্যবাদীর মূল লক্ষ্যই থাকে 85 ভাগ দলিত মানুষদের শাসন ও শোষন করা । এরাই হবে ব্রাহ্মন্যবাদী রাজা আর 85 ভাগ দলিত মানুষ প্রজা সেজে গোলামি করে যাবে ।
এই 85 ভাগ দলিত তপশিলীজাতি , আদিবাসী ও মুসলিম সমাজের মানুষের উপর হয়ে আসা পরিকল্পিত আর্থিক,সামাজিক,রাজনৈতিক, সংস্কৃতিক শোষন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বহুজন সমাজ পার্টী যখনই প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে , তখনই ব্রাহ্মন্যবাদী দলগুলি তাদের পরিচালিত পোষ্য পুঁজিপতি প্রচারমাধ্যমকে দিয়ে সারা দেশে বিভিন্ন রকম কুৎসা করে বি এস পি র ভাবমুর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে । মানুষের মধ্যে বিভেদ ও জাতপাতের বিষ ছড়িয়ে দিয়ে এরাই প্রচার করে বি এস পি জাতপাতের রাজনীতি করে। 85
ভাগ মানুষ যাতে কোনপ্রকারে একত্রিত হতে না পারে তারজন্য সর্বদা জাতিধর্ম , সন্ত্রাসবাদ , মাওবাদ,কাশ্মির , পাকিস্থান চীনের জিগির তুলে সকলকে বিভ্রান্ত করছে । ব্রাহ্মন্যবাদীরা সি এ এ ও এন সি আর লাগু করে দলিত , মতুয়া , আদিবাসীদের ও মুসলিমদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিয়ে সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী করে দাসে পরিণত করার চক্রান্ত করছে । মরিচঝাপিতে দলিত,মতুয়াদের গণহত্যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে সিপিএম সাম্যবাদের আড়ালে হিটলারের মানসিকতা । এরা দলিত মতুয়াদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করতে ও পিছুপা হয় না।
বিজেপি,কংগ্রেস,সিপিএম ও তৃনমূল কংগ্রেসের দলিত এম এল এ,এম পি রা ব্রাহ্মন্যবাদী দলের পোষা কুকুরে পরিণত হয়েছে। তারা তাদের তোয়াজ করে চলে এবং দলিত বহুজনের হয়ে কোনো কথা বলতে পারে না। আমাদের মুক্তির জন্য তাদেরকে ত্যাগ করাই শ্রেয়। একই বাড়িতে চার ভাই তারা চারটি ব্রাহ্মন্যবাদী রাজনৈতিক পার্টী করে তারপর তারা নিজেরা ব্রাহ্মন্যবাদীর চক্রান্তে ভাই ভাইয়ে মারামারি করে খুন হয় । আমরা ভাইচারার মাধ্যমে খুনো খুনি বন্ধ করে কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে, শিল্পায়ন
ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মূল্যবৃদ্ধি রোধে ও সংবিধান রক্ষার স্বার্থে ভয়মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত , সন্ত্রাসমুক্ত বহুজন সমাজ তৈরি করতে ও সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি রক্ষার্থে একমাত্র বিকল্পই হল বহুজন সমাজ পার্টী। বহুজন সমাজ পার্টীই আপনার , আমার নিজস্ব পার্টী । এতদিন আমরা অন্যের বাড়িতে ভাড়া ছিলাম , কেউ কংগ্রেস করেছি , কেউ সিপিএম করেছি , কেউ তৃনমূল কংগ্রেস করেছি , কেউ বিজেপি করেছি। আজ আমাদের নিজস্ব বাড়ি তৈরি হয়ে গেছে বহুজন সমাজ পার্টী , তাই আসুন আমরা সবাই বহুজন সমাজকে শক্তিশালী করে হাতী চিহ্নে ভোট দিয়ে রাজক্ষমতা দখল করি।
বাবা সাহেব ডঃ ভীম রাও আম্বেডকর বলেন “ আমার কাছে জীবন অপেক্ষা আমার দেশের স্বার্থ অনেক বড়। আমার অসহায় এবং নির্যাতিত অস্পৃশ্য সমাজের স্বার্থ তার চেয়েও বড়। আমি গর্বিত যে
আমি যে
সমাজে জন্ম গ্রহণ করেছি তাদের সুখে দুঃখে একাত্ম হতে পেরেছি এবং সারা জীবন তাদের উন্নতির চিন্তা ও
কাজ আমি করতে পেরেছি ।
আমার বিশ্বাস নির্যাতিত শ্রেনী একদিন তাদের ন্যার্য্য অধিকার আদায় করার জন্য একত্রিত হবেই। ভারতের রাজনীতি আজ উচ্চবর্নের মুষ্টীমেয়
একটি গোষ্টীর একচেটিয়া কারবারে পরিণত হয়েছে , দলিত বহুজন সমাজ তাদের কাছে ভোট শিকারের অভয়ারণ্য । এদের মেকী গণতন্ত্র প্রীতিও জনদরদী বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে দেশের দলিত শ্রমজীবি বহুজন মানুষ ঊচ্চবর্নের সেবাদাসে পরিণত হয়েছে “।
0 মন্তব্যসমূহ
Do not share any Link