প্রায় দেড় দু’মাস হতে চলল শ্রীরামপুর বাস স্ট্যান্ডে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে বেসরকারি বাসগুলো। চারপাশে ঘুরঘুর করছেন বাসের চালক, কন্ডাক্টর, খালাসিরা। কি করবেন ভেবে পাচ্ছে না। বাড়ি থাকলেই অভাব অনটনের সংসারে নিত্য ঝামেলা লেগেই রয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই সকাল হতেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন । খালি হাতেবাড়ি ফেরেন একেবারে রাতে। তারপর সেই অশান্তি, এটা নেই, ওটা নেই। এটাই এখন তাঁদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বলতে গেলে কাজ হারিয়ে একপ্রকার অনাহারেই দিন কাটাচ্ছেন বাসচালক ও কন্ডাক্টররা। গতবছর একেবারে অলিখিত ভাবেই হানা দিয়েছিল মারণ ভাইরাস করোনা। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। রুটিরুজি হারিয়ে এক প্রকার না খেতে পেয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছিলেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। চলতি বছরের শুরুতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবার নতুন করে বাঁচার আলো দেখতে পান। কিন্তু কয়েকমাস যেতে না যেতেই আবার সেই মারণ ভাইরাস করোনার ধাক্কায় একেবারে কোণঠাসা তাঁরা। বছরের শুরুর দিকে কিছুটা ধুঁকতে ধুঁকতে চললেও মে মাসে এসে রাজ্যজুড়ে জারি হওয়া করা বিধিনিষেধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন ব্যবস্থা। যার ফলে একপ্রকার কাজ হারিয়েই বাড়িতে বসে দিন কাটছে । গতবছর সরকারের তরফে কিছু সুবিধা পেলেও এবার কিছুই জোটেনি।কারন ভোট শেষ হয়ে গেছে । সেরকম কোন সাহায্য না পাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বাস চালক, কন্ডাক্টররা ও সাধারন মানুষজন ।
0 মন্তব্যসমূহ
Do not share any Link