খাদ্য সংকট মোকাবিলায় খোঁজা হচ্ছে বিকল্প সব খাদ্য উপাদান :
2021 গ্লোবাল হ্যাঁগার ইন্ডেক্স ( খুদা সূচক) অনুযায়ী ভারতের র্যাংক হল ১০১ তম , যা ১১৬ টি দেশের মধ্যে , ভারতের খুদা সূচক খুব মারাত্মক আকার ধারন করতে চলেছে । ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, গত ২০০ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা সাত
গুণ বেড়েছে। এমনকি ২০১১ সালেও বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৭০০ কোটি। তা গত ১১ বছরে আরও
১০০ কোটি বেড়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছুঁয়ে যাবে। আরো বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকবে। ২০৩০ সালে তা আরও বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮৫০
কোটিতে। ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৯৭০ কোটিতে। আর ২১০০ সালে
বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ১ হাজার ৪০ কোটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । বর্তমানে বিশ্বের
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন। এরপরই ভারতের অবস্থান। তবে আগামী বছর এই অবস্থান
বদলে যেতে পারে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে , ২০২২ সালের শেষে ভারতের মোট জনসংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১৪১ কোটি
২০ লাখে। আর এ সময় চীনের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৪২ কোটি ৬০ লাখে। আগামী বছর এই ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যেতে
পারে। অন্যদিকে,
বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি
সংস্থার হিসাব মতে- ভবিষ্যৎ তে এই বিশাল
জনসংখ্যার খাবারের যোগান দিতে অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। তবে, খাদ্য উৎপাদন এত ব্যাপক মাত্রায় বাড়ানো সম্ভব
হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে । সেক্ষেত্রে
ভবিষ্যৎ তে বিশ্বে তীব্র
খাদ্য সংকটের মুখোমুখি মুখোমুখি হতে পারে। অন্যদিকে, প্রথাগত চাষবাস করে ভবিষ্যৎ তে খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব কিনা তা ও
ভেবে দেখার বিষয় ।
এই খাদ্য সংকট মোকাবিলার জন্য
এখন থেকেই খোঁজা হচ্ছে বিকল্প সব খাদ্য উপাদান । সেই খাদ্য উপাদানের
তালিকায় যেমন আছে পিঁপড়ের ডিম , তেলাপোকা,
গঙ্গা ফড়িংয়ের মতো পতঙ্গ, তেমনি আছে সমুদ্রের শৈবাল ক্লোরেলা ও কৃত্রিম খাবার ।
কৃত্রিম মাংস ঃ
পরীক্ষাগারে তৈরি
হলে ও , কালচার করা মাংস সত্যিকার অর্থেই মাংস। যা কৃ্ত্রিম ভাবে
তৈরি হচ্ছে । এই প্রক্রিয়ায়
প্রাণীর সতেজ কোষের কালচার সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে যা বায়োরিঅ্যাক্টরে রাখা হয়,
যাতে করে কোষ বৃদ্ধি হয়ে
টিস্যুতে পরিণত হতে পারে এবং কয়েক সপ্তাহ পরে
এই পরীক্ষাগারে উৎপাদিত মাংসকে খাওয়ার উপযোগী করে তোলে । বার্গার ,চিলি
চিকেন , বিভিন্ন চিকেনের
মতো খাবারেও ব্যবহার করা যায়। পরীক্ষাগারে
উৎপাদিত এমন মাংসের পুষ্টিগুণ নিয়ে প্রশ্ন থাকলে ও, খাবার জন্য প্রাণী হত্যার চেয়ে কৃ্ত্রিম মাংসের কিন্তু
জয়ী হওয়ার সুযোগ থাকবে । যেহেতু এই কৃ্ত্রিম প্রক্রিয়ায় পশু হত্যার প্রয়োজন পড়ছে না । তাই অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে দেখা যেতে পারে
পরিচিত মাংসের বাইরে গিয়ে
কৃ্ত্রিম প্রাণীর মাংস নিয়ে
বাজারে ব্যবসা করতে চলেছে । এই কৃ্ত্রিম কালচার
প্রত্রিয়ায় হয়তো হরিণ ও কচ্ছপের মাংসও পেয়ে যেতে পারেন ।
0 মন্তব্যসমূহ
Do not share any Link